1. live@dailykhoborbangladesh.online : দৈনিক খবর বাংলাদেশ : দৈনিক খবর বাংলাদেশ
  2. info@www.dailykhoborbangladesh.online : দৈনিক খবর বাংলাদেশ :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি ও প্রাইভেট বাণিজ্যের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

 

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি ও প্রাইভেট বাণিজ্যের অভিযোগ 

 

ডেস্ক রিপোর্ট: হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় আউলিয়াবাদ রাম কেশব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সন্ধান পাওয়া গেছে। ২০২৫ সালের এসএসসি সাধারণ শাখা ও কারিগরি শাখার ফরম পূরণ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন বোর্ডের নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত জন প্রতি ৫০০ টাকা। এছাড়া ২০২১ সাল থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সনদ ও প্রত্যয়ন পত্র বাবদ জন প্রতি ৫০০ টাকা করে গ্রহণ করেন তিনি কিন্তু বিদ্যালয়ের সাধারণ হিসাবে জমা না করে নিজেই আত্মসাৎ করেন।

 

এসব টাকা গ্রহণের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়নি কোন প্রাপ্তি রশিদ। এই দুটি বিষয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করিলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নয় বলে মন্তব্য করেন। প্রধান শিক্ষক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার একটি আইপিএস, ব্যাটারি, ২ কয়েল তার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন যাবত নিজের বাসায় ব্যবহার করে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মোঃ হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে  তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান এই কারিগরি শাখার উল্লিখিত যন্ত্রপাতি প্রধান শিক্ষকের বাসায় ব্যবহার হচ্ছে।

 

প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আছাদুজ্জামানের কাছে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অডিট সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে দেখাতে পারেননি কোনো প্রমাণ পত্র। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল বিগত ১২ বছর যাবত বিদ্যালয়ের কোন অভ্যন্তরীণ অডিট করা হয়নি। শিক্ষা নীতিমালায় উল্লেখ থাকলেও বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য তিনি করেননি কোনো উপকমিটি, স্থানীয়় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এভাবেই কাটিয়ে দিচ্ছেন প্রায় এক যুগ। অনুসন্ধানে জানা যায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বি এড সনদ দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন এই আউলিয়াবাদ রাম কেশব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্থান।

 

এভাবেই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে, স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে এই স্কুল প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছেন নিজের মতো করে। এই সকল অন্যায়ের বিষয়ে শিক্ষকরা প্রতিবাদ করিলে এই পাষণ্ড এই প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আছাদুজ্জামানের দ্বারা শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি, হেনস্থা ও বেতন বৈষম্যের শিকার হতে হয় তাদের। এই প্রধান শিক্ষকের ভয়ে অন্যান্য শিক্ষকরা মুখ খুলতে রাজি হননি, সাংবাদিকগণ উপস্থিত হওয়ার পর প্রত্যেক শিক্ষক তার মনের ভাষা গুলি ব্যক্ত করতে শুরু করেন এই প্রধান শিক্ষকের কুকীর্তি ও অনিয়মের কথা। হেনস্তার স্বীকার থেকে বাদ পড়েননি এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগ পাওয়া ধর্মীয় শিক্ষক জান্নাতুন নাইমা ও।

 

ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার ল্যাব সহকারি শিক্ষক মোঃ নয়ন মিয়ার মাধ্যমে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাইভেট বাণিজ্য। এই বিষয়টি মোঃ নয়ন মিয়া নিজেই  সত্যতা স্বীকার করেন।

এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মোঃ আছাদুজ্জামান এর নিকট অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা জানতে চাইলে তিনি তার সত্যতা নিজেই প্রকাশ করেন।

এই দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা মাধবপুর শিক্ষা অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে তিনি কোন কিছু জানেন না।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট